উচ্চ রক্তচাপে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

উচ্চ রক্তচাপে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

উচ্চ রক্তচাপে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা।

হাইপারটেনশন বলতে উচ্চ রক্তচাপকে বুঝায়। হৃদপিন্ড (heart) সারা দেহে রক্ত সঞ্চালনের সময় ধমনীর (arteries) দেয়ালে রক্তের যে চাপ প্রয়োগ হয় তাই রক্তচাপ। রক্তচাপকে সাধারণত দুইটি সংখ্যা দ্বারা পরিমাপ করা হয় – ১২০ এবং ৮০ (১২০/৮০ mmHg লেখা হয়)। শীর্ষ সংখ্যা (এখানে ১২০) কে সিস্টোলিক রক্তচাপ বলা হয়, এবং নীচের সংখ্যা (এখানে ৮০) কে ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ বলা হয়।

রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেসার হলো মানুষের শরীরের ধমনীর প্রবাহ। হূিপণ্ড থেকে রক্ত যখন শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রবাহিত হয়, তখন ধমনীর দেয়ালে চাপ প্রয়োগ করে এবং এ চাপই রক্তচাপ নামে পরিচিত। প্রতিটি হূদস্পন্দনের সময় একবার সর্বোচ্চ চাপ (সিস্টোলিক) এবং সর্বনিম্ন চাপ (ডায়াস্টোলিক) হয়।

রক্ত চলাচলের সময় ধমনির গায়ে যে চাপ তৈরি হয়, তাকে রক্তচাপ বলে। রক্তচাপ দুই প্রকার৷ যথা: (১) সিস্টোলিক রক্তচাপ এবং (২) ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ।

হৃৎপিণ্ডের সংকোচন বা সিস্টোল অবস্থায় ধমনির গায়ে রক্তচাপের মাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে। একে সিস্টোলিক চাপ (Systolic Pressure) বলে। হৃৎপিণ্ডের (প্রকৃতপক্ষে নিলয়ের) প্রসারণ বা ডাইয়াস্টোল অবস্থায় রক্তচাপ সবচেয়ে কম থাকে। একে ডায়াস্টোলিক চাপ (Diastolic Pressure) বলে।

রক্তচাপ সম্পর্কে
আপনার রক্তচাপ ১২০/৮০ mmHg বা অধিকাংশ সময় এর একটু কম হলে স্বাভাবিক রক্তচাপ ধরা হয়।
আপনার রক্তচাপ ১৪০/৯০ mmHg বা অধিকাংশ সময় এর উপরে হলে উচ্চ রক্তচাপ (হাইপারটেনশন) ধরা হয়।
আপনার রক্তচাপ ১২০/৮০ mmHg বা এর বেশি, কিন্তু ১৪০/৯০ mmHg এর নিচে হলে, একে প্রাক বা প্রাইমারি উচ্চ রক্তচাপ বলা হয়।
আপনার রক্তচাপ ১৪০/৯০ mmHg বা এর বেশি থাকলে একে সেকন্ডারি বা উচ্চ রক্তচাপ বলে।

আপনার প্রাক উচ্চ রক্তচাপ থাকলে উচ্চ রক্তচাপে বিকশিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আপনার হৃদপিন্ড বা কিডনি সমস্যা থাকলে অথবা একটি স্ট্রোকের ইতিহাস থাকলে, আপনার ডাক্তার অবশ্যই আপনাকে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনের পরামর্শ দিবেন।

চিকিৎসকদের মতে, পরিণত বয়সে একজন মানুষের আদর্শ রক্তচাপ (Blood pressure) সাধারণত ১২০/৮০ মিলিমিটার মানের কাছাকাছি। রক্তচাপকে দুটি সংখ্যায় উল্লেখ করা হয়। প্রথমটি উচ্চমান এবং দ্বিতীয়টি নিম্নমান। রক্তের উচ্চ চাপকে সিস্টোলিক (Systolic) চাপ বলে যার আদর্শ মান ১২০ মিলিমিটারের নিচে। নিম্নচাপকে ডায়াস্টোলিক (Diastolic) চাপ বলে।

এই চাপটির আদর্শ মান ৮০ মিলিমিটারের নিচে। এই চাপটি হৃৎপিণ্ডের দুটি বিটের মাঝামাঝি সময় রক্তনালিতে সৃষ্টি হয়। দুধরনের রক্তচাপের পার্থক্যকে ধমনিঘাত বা নাড়িঘাত চাপ (Pulse pressure) বলা হয়।

সাধারণত সুস্থ অবস্থায় হাতের কব্জিতে রেট তথা হৎস্পন্দনের মান প্রতি মিনিটে ৬০-১০০। হাতের কব্জিতে হালকা করে চাপ দিয়ে ধরে পালস রেট বের করা যায়। স্ফিগমােম্যানােমিটার (Sphygmomanometer) বা সংক্ষেপে বিপি যন্ত্রের সাহায্যে রক্তচাপ মাপা যায়। এই যন্ত্র দিয়ে ডায়াস্টোলিক ও সিস্টোলিক চাপ দেখে রক্তচাপ নির্ণয় করা যায়।

প্রতিটি হৃৎস্পন্দনের সময় হৃৎপিণ্ড সংকুচিত হয় এবং সেই চাপে রক্ত সমগ্র শরীরের ধমনিতে ছড়িয়ে পড়ে। রক্তনালির দেয়ালে এ সময় রক্ত যে চাপ দেয়, এটিই হচ্ছে সিস্টোলিক প্রেশার। আর দুটি হৃৎস্পন্দনের মধ্যবর্তী সময়ে অর্থাৎ হৃৎপিণ্ড যখন শিথিল থাকে, সে সময়ে ধমনির গায়ে রক্তের যে চাপ বিরাজমান থাকে, সেটাই ডায়াস্টোলিক প্রেশার।

  • তীব্র ও দীর্ঘস্থায়ী গ্লোমেরুলোনেফ্রাইটিস_Acute and chronic glomerulonephritis
  • এথেরোস্ক্লেরোসিস_Atherosclerosis
  • ক্রনিক রেনাল ফেইলিউর_Chronic renal failure
  • রক্তনালিকায় এম্বলাস_An embolus in a blood vessel
  • ফাইব্রো মাসকোলার ডিস্পক্লাসিয়া_Fibromuscular dysplasia
  • পলি-আর্থ্রাইটিস নডোসা_Poly-arthritis nodosa
  • পায়েলোনেফ্রাইটিস_Pyelonephritis
  • পলিসিস্টিক রোগ_Polycystic disease
  • উইলমস টিউমার_Wilms tumor
  • ডায়াবেটিস মেলিটাস_Diabetes Mellitus
  • রেনাল আর্টারি সংকুচিত_Renal artery constriction
  • কসিংস সিন্ড্রোম_Cussing’s syndrome
  • এয়র্টার কোয়ার্কটেশন_Coarctation of the aorta
  • স্টেরয়েড এবং জন্মবিরতিকরণ পিলের অত্যধিক ব্যবহার।_Excessive use of steroids and birth control pills.
  • গর্ভাবস্থায় টক্সিমিয়া_Toxemia in pregnancy
  • সীসার বিষক্রিয়া_Lead poisoning
  • ইন্ট্রাক্রেনিয়াল চাপ বৃদ্ধি_Increased intracranial pressure
  • মাথা ব্যথা বা মাথা ঘোরা
  • ঝাপসা দৃষ্টি
  • নাক দিয়ে রক্ত আসা
  • উদ্বেগ
  • বম বা বমি বমি ভাব
  • লালাভ মুখ এবং ত্বক
  • ফোলা বৃদ্ধি
  • দ্বিত্ব দৃষ্টি
  • উত্তাপ প্রবাহ
  • স্বাস কষ্ট
  • হৃদস্পন্দন বেড়ে জাবে
  • শরীরে কম্পন
  • ক্লান্তি
  • চটকা
  • বিরক্ত
রক্তচাপ কত প্রকার কি কি?
কোন অসুখে রক্তচাপ বেড়ে গেলে তাকে হাইপার টেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ এবং কমে গেলে হাইপো টেনশন বা নিম্ন রক্তচাপ বলে। অনেক কারণে উচ্চ রক্তচাপ ও নিন্ন রক্তচাপ হতে পারে এবং উভই হটাৎ সূত্রপাত হতে পারে অথবা দীর্ঘদিন ধরে হতে পারে।
হাই ব্লাড প্রেসার কি কি খাওয়া যাবে না?
উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা কাঁচা নুন ও নুন দেওয়া খাবার একেবারেই খাবেন না। এমনকি ‘প্রসেসড ফুড’ খাওয়া থেকেও বিরত থাকুন। খেতে ভাল লাগলেও সস, চিপস, রোল বা স্যান্ডউইচ যতটা না খাওয়া যায়, ততই ভাল। এই রোগে অতিরিক্ত পরিমাণ চিনি দেওয়া খাবার যেমন, কেক বা মিষ্টি খাবার খাওয়া উচিত না।
হাই ব্লাড প্রেসার হলে কি করা উচিত?
ব্যায়াম করুন, স্বাভাবিক রক্তচাপ বজায় রাখতে আপনার ওজন এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা বজায় রাখুন। নিজেকে শারীরিকভাবে সক্রিয় রাখুন। নিয়মিত ওয়ার্কআউট উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমায় এবং আপনার হৃদয়কে সুস্থ রাখে। বেশি না হলে, আপনার দৈনন্দিন রুটিনে অন্তত ৩০ মিনিটের ওয়ার্কআউট সহ।
হাই ব্লাড প্রেসারের লক্ষণ কি?
ব্লাডপ্রেশার সমস্যায় কয়েকটি ক্ষেত্রে দেখা দিতে পারে এই লক্ষণ (High Blood Pressure Symptoms) – মাথা ব্যথা, খুব ঘাম হওয়া, মাথার পিছনে ব্যথা, হাঁফ ধরা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এমন কোনও লক্ষণ দেখা দিলেই আপনাকে অবশ্যই হতে হবে সাবধান।
হাইপারটেনশন এর লক্ষণ কি?
কিন্তু সাধারণভাবে তিনি কয়েকটি লক্ষণের কথা বলেছেন, যেমন ঘাড় ও মাথা ব্যথার পাশাপাশি মাথা ঘোরা, অল্পে রেগে যাওয়া, রাতে ভালো ঘুম না হওয়া, অস্থির লাগা– এমন লক্ষণ দেখা গেলে সতর্ক হতে হবে, এবং রক্তচাপ পরিমাপ করে দেখতে হবে।
নরমাল ব্লাড প্রেসার কত?
একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের রক্তচাপ থাকে ১২০/৮০ মিলিমিটার মার্কারি। কারও ব্লাড প্রেশার রিডিং যদি ১৪০/৯০ বা এর চেয়েও বেশি হয়, তখন বুঝতে হবে তার উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে। অন্যদিকে রক্তচাপ যদি ৯০/৬০ বা এর আশেপাশে থাকে, তাহলে তাকে লো ব্লাড প্রেশার হিসেবে ধরা হয়।
প্রেসার কত হলে কম?
লো ব্লাড প্রেশার: ধমনীতে রক্তচাপ ৯০/৬০ mmHg বা তার কম হলে বুঝতে হবে যে, নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে। উল্লেখ্য, বয়সের উপর ভিত্তি করে উচ্চ রক্তচাপ এবং নিম্ন রক্তচাপের মাত্রা ভিন্ন হতে পারে।
লো প্রেসার কমানোর উপায় কি?
হঠাৎ করে লো প্রেসার দেখা দিলে এক কাপ কফি খেতে পারেন। স্ট্রং কফি, হট চকলেট, কমল পানীয়সহ যে কোনো ক্যাফেইনসমৃদ্ধ পানীয় দ্রুত ব্লাডপ্রেসার বাড়াতে সাহায্য করে। আর যারা অনেক দিন ধরে এ সমস্যায় ভুগছেন, তারা সকালে ভারী নাশতার পর এক কাপ কফি খেতে পারেন।
হোমিও ঔষধ
একোনাইটবেলেডোনান্যাট্রাম মিউর
আর্সেনিক এল্বব্যারাইটা মিউরপ্লাম্বাম মেট
এলিয়াম সেপাকার্বো এনিমিলিসস্যাঙ্গুইনেরিয়া নাইট
অরাম মেটক্যাল্কেরিয়া কার্বথুজা
এড্রেনালিনগ্লোনইনভিরেট্রাম এল্ব
আর্জেন্টাম নাইটনাক্স ভমিকা